Spur Gear

দুটি সমান্তরাল শ্যাফটের এর মাঝে শক্তি সঞ্চালনের জন্য স্পার গিয়ার ব্যবহার করা হয়। স্পার গিয়ারের দাঁত গুলো শ্যাফট এক্সিসের সাথে সমান্তরালে থাকে। স্পার গিয়ারে ব্যবহারে তুলনামূলক বেশি শব্দ হয় এবং এর লাইফ টাইম তুলনামূলক কম।

Helical Gear

দুটি সমান্তরাল শ্যাফটের মাঝে স্পার গিয়ারের তুলনায় অধিক দক্ষতার সাথে শক্তি সঞ্চালনের জন্য হেলিক্যাল গিয়ার ব্যবহার করা হয়। হেলিক্যাল গিয়ারের দাঁত গুলো শ্যাফট এক্সিসের সাথে কোণ করে থাকে। এই কোণকে হেলিক্স এঙ্গেল বলে। হেলিক্যাল গিয়ার ব্যবহারে শব্দ কম হয়, তাই দক্ষতা ও লাইফ টাইম স্পার গিয়ারের চেয়ে বেশি হয়।

Double Helical Gear

ডাবল হেলিক্যাল গিয়ারে দুটি সিঙ্গেল হেলিক্যাল গিয়ার ব্যবহার করা হয়। দুটি গিয়ারের মাঝে কিছুটা ফাঁকা রাখা হয়। প্রোডাকশন জনিত জটিলতা দূর করার জন্য দুটি গিয়ারের মাঝে ফাঁকা রাখা হয়।

Herringbone Gear

হেরিংবোন গিয়ারে দুটি হেলিক্যাল গিয়ার থাকে। কিন্তু দুটি হেলিক্যাল গিয়ারের মাঝে কোন ফাঁকা রাখা হয়না। হেরিংবোন গিয়ার প্রস্তুত প্রক্রিয়া তুলনামূলক জটিল।

Bevel Gear

সমকোণে অবস্থিত দুটি শ্যাফটের মাঝে শক্তি সঞ্চালনের জন্য বিভেল গিয়ার ব্যবহার করা হয়। বিভেল গিয়ারের দাঁত গুলো সোজা হলে তাকে Straight Bevel Gear বলে। বিভেল গিয়ারের দাঁত গুলো স্পাইরাল হলে তাকে Spiral Bevel Gear বলে।

Worm Gear

উচ্চ গতিকে নিম্ন গতিতে রূপান্তর করার জন্য ওয়ার্ম গিয়ার ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্ম গিয়ারের চালক সর্বদা ওয়ার্ম এবং হুইল সর্বদা চালিত হয়। ওয়ার্ম গিয়ার এর মাধ্যমে গতিকে হ্রাস করা হয়, কিন্তু গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিফটে, এলিভেটরে, কনভেয়ার মেকানিজমে ওয়ার্ম গিয়ার ব্যবহার করা হয়।

Hypoid Gear

হাইপয়েড গিয়ার এক প্রকার বিভেল গিয়ার, যেখানে দুটি গিয়ার এক্সিস একে অপরকে ছেদ করে না। হাইপয়েড গিয়ারের সাহায্যে বিভেল গিয়ারের তুলনায় অধিক পরিমাণে গতিকে পরিবর্তন করা সম্ভব।

Rack and Pinion

গিয়ারের রোটারী গতিকে রৈখিক গতিতে রূপান্তর করার জন্য রেক এন্ড পিনিয়ন ব্যবহার করা হয়। গাড়ির স্টিয়ারিং-এ রেক এন্ড পিনিয়ন ব্যবহার করা হয়।

Internal Gear

চিত্র দেখেই বুঝতে পারছো ইন্টারনাল গিয়ারের দাঁত গুলো ভিতরের দিকে থাকে। ইন্টারনাল গিয়ারকে রিং গিয়ারও বলা হয়। সাধারণত প্লানেটারি গিয়ার ড্রাইভে ইন্টারনাল গিয়ার ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনাল গিয়ার ব্যবহারে কম্পন কম হয় এবং অধিক হারে গতির পরিবর্তন করা যায়।